দেশ স্বাধীনের পর অভাব-অনটনের কারণে ১৩০০ টাকা ধার নেন জব্বার সরদার। কিন্তু ২০০০ সালে তিনি মা;রা যান। মৃ;ত্যুর সময় ছেলেদের
তার ধার করা টাকা পরিশোধ করতে বলে যান। তবে জব্বার সরদার মারা যাওয়ার আগেও পাওনাদারকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেছেন; কিন্তু কোথাও পাননি। অবশেষে ৪৬ বছর পর বাবার পাওনাদারের মেয়েদের খোঁজ পেলেন ছেলেরা। আর পরি;শোধ করলেন সেই ১৩০০ টাকা।বৃহস্পতিবার
বিকেলে অবিশ্বাসীয় এ ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা শহরতলীর সুলতানপুর কাজীপাড়ায়। খুলনার কয়রা থানার বধালী গ্রামের নেছার আলী ও শহিদুল ইসলাম জানান, তাদের বাবার নাম জব্বার সরদার। দেশ স্বাধীনের পর সাতক্ষীরা শহরে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন তিনি। ১৯৭৫ সালে তীব্র অভাব-অনটন দেখা দিলে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সুলতানপুর কাজীপাড়ার শেখ নুরুল হকের কাছ থেকে ১৩০০ টাকা ধা;র নেন তাদের
বাবা। ২০০০ সালে জব্বার সরদার মা;রা যান। মৃ;ত্যুর সময় তিনি সন্তানদের পাওনাদারের নাম-ঠিকানা দিয়ে যান। একই সঙ্গে তার ধার করা ১৩০০ টাকা পরিশোধ করতে অসিয়ত করে যান। জব্বার সরদারের মৃ;ত্যুর পর স্বজনরা সাতক্ষীরা শহরে এসে শেখ নুরুল হককে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। পরে তারা নিজ এলাকায় ফিরে যান।
২০১২ সালে পাওনাদার শেখ নুরুল হক মা;রা যান। এরপরও বিভিন্ন স্থানে নুরুল হকের স্বজনদের খুঁজতে থাকেন। বৃহস্পতিবার সারাদিন খোঁজার পর বিকেলে পাওনাদার নুরুল হকের তিন মেয়ের সন্ধান পান জব্বার সরদারের দুই ছেলে। তারা নুরুল হকের তিন মেয়েকে বিষয়টি খুলে বলেন। পরে তাদের হাতে ১৩০০ টাকা তুলে দেন।
দেনা পরিশোধের পর বাবার জন্য দোয়া চাইলেন তারা জব্বার সরদারের ছেলে নেছার আলী ও শহিদুল ইসলাম।